তালিকা জুড়ে বইয়ের মেলা (জ্যোতির্বিদ্যা বইয়ের তালিকা)

তালিকা  জুড়ে  বইয়ের  মেলা
  -হৃদয় হক

 

উৎসর্গ : বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রদূত মোহাম্মদ আবদুল জব্বার স্যার ও বাংলাদেশী সৃষ্টিতত্ত্ববিদ ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্যার – কে।

কৃতজ্ঞতা : সম্পুর্ণ তালিকাটি আমার পক্ষে একা করা সম্ভব হয়নি। অনেকেই রিভিউ দিয়ে সাহায্য করেছেন, আবার কেউ কেউ ভালো বইয়ের সন্ধান দিয়েছেন। সবমিলে যাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞত তাঁরা হলেন – Syeda Lammim Ahad (তিনি বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি করছেন), Iftekhar Ahmed, Shahnaz Parvin Panna, Nayeem Hossain Faruque, Shuvo Salauddin, Md Mehedi Islam Khan Ifti, Jahidul Islam Riyad, Shazan Mahamud, Rudra Basak, Mahatir Ahmed,Sarker Avi, সৌরভ আহমেদ, Farseem Mannan Mohammedy স্যারের (তিনি শিক্ষকতা করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে) বই “মহাকাশের কথা” ও উনার গ্রুপ “Astronomy School” থেকেও প্রচুর সাহায্য পেয়েছি। তাছাড়া বাংলাদেশ জ্যোতির্বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, রকমারি,  গুডরিডস ও আমাজন – এর ওয়েবসাইট থেকেও কম সাহায্য পাই নি, উনাদের প্রত্যেকের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ।

কেন এ তালিকা? অনেকেই ইন্টারনেটে জ্যোতির্বিজ্ঞান বইয়ের তালিকা জানতে চান। তবে উনি ঠিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বইয়ের কোন ক্যাটাগরির বই চান তা ঠিক বলতে পারেন না। আবার অনেকেই ফেইসবুকের গ্রুপে বই চেয়ে পোস্ট দেন। কেউ বিগিনার কেউ এডভান্সড লেভেলের। তাই সকলের কথা ভেবে এই তালিকাটি বানানো। একেবারে বিগিনার থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি লেভেল পর্যন্ত কাভার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যদি এ তালিকা দিয়ে কেউ বিন্দুমাত্র উপকৃত হন, তাহলেই আমার এত সময় ও পরিশ্রম সার্থক হবে বলে ধরে নেব৷ 

ক) জ্যোতির্বিজ্ঞান :

১. মহাকাশে কী ঘটছে – আব্দুল্লাহ আল মূতী (অনুপম প্রকাশনী) : জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ে প্রথম বইয়ের হাতেখড়ি নিয়েছি এ বই দিয়েই। বাংলায় লেখা সাধারণ পাঠকের জন্য এর চেয়ে সহজমানের স্টান্ডার্ড বই আর হতে পারে না। বইতে গ্রহদের গল্প চলছে ভয়েজারের মুখে। রয়েছে নীল দানব ও সাদা বামনের গল্প, আকাশের ভেঙে পড়ার গল্প মহাবিশ্বের প্রায় সকল বস্তু ও ধর্মাবলী নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

২. পৃথিবী ও আকাশ – আলেকজান্ডার ভলকভ : এটাও হাতেখড়ির জন্য ভালো মানের একটি বই। সোভিয়েত অনুদিত। ৩টি খন্ডে বিভক্ত এ বইতে ১ম খন্ডে রয়েছে পরিমিত ইতিহাস, কম্পাস, সময়ের হিসেবের সাধারণ কথা। ২য় খন্ডে সৌরজগতের গ্রহ-উপগ্রহের কথা, উল্কার গল্প, ধুমকেতুর গল্প। ৩য় খন্ডে আছে সূয্যিমামার কথা – তার মুকুট, মেরুজ্যোতির কথা, তারাদের দূরত্ব, তারাদের আয়তন, রাতের আকাশের তারা কথন, তাদের চিত্র। বইতে আছে অসাধারণ ইলাস্ট্রেশন। সব মিলিয়ে সিম্পল ও ছোট শ্রেণির হাতেখড়ির জন্য এটা বেস্ট।

৩. মহাকাশের কথা – ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী (অনুপম প্রকাশনী) : আবদুল্লাহ আল মূতী স্যারের পর আমি এই বই পড়ার জন্য বলব। স্যারের ওই বইতে যেগুলো খুব কম আলোচনা হয়েছে বা হয়নি তা মোটামুটি এ বইতে সহজে আলোচনা হয়েছে।

৪. জ্যোতির্বিজ্ঞান শব্দকোষ – ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী : “বাংলা ভাষায় জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে একমাত্র শব্দকোষ। পাঠকদের তো বটেই সেই সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে লেখকদের কাছেও এটি থাকা আবশ্যক”

৫. গ্রহ-নক্ষত্রের হাতছানি – বিপ্রদাশ বড়ুয়া : সত্যিকার অর্থে এটা অতি সাধারণ বই। এখানে বেশ কিছুই আলোচনা হয়েছে। কিছু গল্প, কিছু ইতিহাস। বইটা মুলত সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্যোতির্বিদ্যার আনন্দ বা প্রয়োজন বোধের জন্য লিখা।

৬. টেলিস্কোপ কী বলে – অরুণ সোম : ছোটদের জন্য খুবই ভালো মানের। সবাই পাড়ার মত, আর সেই সাথে রয়েছে ইলাস্ট্রেশন। অনুবাদও অনেক সহজ সরল। সোভিয়েত থেকে অনুদিত। সকলেরই বিশেষ করে নব জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রেমিদের ও ছোটদের এ বই পড়া উচিত৷ কলকাতায় এ বই অনুবাদ হবার পর ছোটদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

৭. জ্যোতির্বিদ্যার খোশখবর – ইয়াকভ পেরেলম্যান ; অনুবাদ – আসিফ (তাম্রলিপি) : দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণকেই কাজে লাগিয়ে এই বইটি রচনা করা হয়েছে। বইটির উদ্দেশ্য হল জ্যোতির্বিজ্ঞানের মূল তথ্যের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বইটির উপস্থাপনে পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যে সব সাধারণ তথ্যের সঙ্গে আমরা পরিচিত তাদের আকস্মিকভাবে উল্টিয়ে, বা কোন অদ্ভুত অপ্রত্যাশিত কোণ থেকে দেখান হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল কল্পনাশক্তির উদ্বোধন আর কৌতূহলের উদ্রেক। এই বইয়ে পৃথিবী, চাঁদ, গ্রহ, তারা আর মাধ্যাকর্ষণ সম্বন্ধে নানা পরিচ্ছেদ আছে। এ জাতের বইয়ে সাধারণত যে সব বস্তু আলোচিত হয় না প্রধানত তাদের উপরই লেখক বেশি মনোনিবেশ করেছেন।

৮. একুশ শতকের জ্যোতির্বিজ্ঞান – সম্পাদনা: ড. এ. এম. হারুণ- উর- রশীদ ও মুনির হাসান : বাংলাদেশের তরুণ ও প্রবীন সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে যারা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লেখালেখি করেছেন তার মধ্যে ১২টি প্রবন্ধ একত্র করে এই গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে।

৯. মহাবিশ্ব – হুমায়ুন আজাদ : অসাধারণ কাব্যিক ঢঙে হুমায়ুন আজাদ আপনাকে নিয়ে যাবে মহাবিশ্বের এক মুগ্ধ জগতে। বিগ ব্যাং ও তার পরের মহাবিশ্ব, আমাদের আকাশ, সৌরজগতের কথা, চাঁদ সূর্যের কথা, তারা – ছায়াপথ ও সবশেষে জ্যোতিষশাস্ত্রের ভণ্ডামি সবই কাব্যিক রসে লিখা৷

১০. নক্ষত্র – শরিফ মাহমুদ ছিদ্দিকী (প্রথমা) : ২৮টি নক্ষত্রের বর্ণনা নিয়ে লেখা রঙিন ছবিওয়ালা ৩২ পেইজের বই। মূল ধারার নক্ষত্র, নীল দানব, লাল দানব এসব যারা চেনে না তাদের জন্য বইটা পড়া কঠিন হবে। প্রতিটা নক্ষত্রের বাংলা নাম, ইংলিশ নাম, কন্সটেলেশন এসবের বর্ণনা আছে। সাথে ভর, দূরত্ব, রঙ এসবও আছে। লেখার স্টাইল ডিকশনারি ধাঁচের। এটা মূলত ছোটদের বই।

১. জ্যোতির্বিজ্ঞান কী ও কেন? – সৌমেন সাহা : এ বইতে অনেক বিষয় একত্রে আলোচিত আছে। হালকা ইতিহাস, কিছু নক্ষত্র মণ্ডল, খ-গোলক পরিচিতি, নানান জ্যোতির্বিজ্ঞান সময়, সৌরজগত ও ব্যবহারিক জ্যোতির্বিজ্ঞান এসবের সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক ধারণা নিয়ে লিখা। অলিম্পিয়াডেও কিছুটা সাহায্য করবে।

১২. মহাবিশ্বের কথা – ফেলিক্স ক্রিভিন; অনুবাদ: অরুণ সোম : ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের মনে থাকে মহাবিশ্ব নিয়ে নানান কৌতুহলী প্রশ্ন। খুবই সাধারণ কিছু প্রশ্ন৷ আর এ সকল সাধারণ প্রশ্নের অসাধারণ উত্তর নিয়ে লিখা হয়েছে এ বইটি। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বিশেষ করে ২য়-৩য় শ্রেণির বাচ্চাদের কৌতুহল মেটানোর জন্য মোটামুটি সকল প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর আছে এ বইতে। বইয়ের অনুবাদ ও অনেক সহজ সরল, ছোটদের বোঝার উপযোগী করে অনুবাদ করা এক অসাধারণ সোভিয়েত অনুদিত বই।

১৩. পৃথিবী কি গোল? – আনাতোলি তমিলিন; অনুবাদ: অরুণ সোম : আদি থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর আকার নির্ণয়ের সমগ্র ইতিহাস খুবই সুন্দর ও সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ সোভিয়েত বইতে। ইতিহাসের সাথে রয়েছে অসাধারণ ইলাস্ট্রেশন যা কল্পনায় অসম্ভব সাহায্য করেছে। যারা ফ্ল্যাট আর্থ বা সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাস করে তাদের জন্য এ বই একটি ওষুধ স্বরূপ।

১৪. আকাশ ভরা সূয্যতারা – ড. এ. এম. হারুণ- উর- রশীদ : নক্ষত্রের বিভিন্ন ধর্মাবলী, প্রকৃতি, তারাবর্ণালি ইত্যাদি নিয়ে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

১৫. চন্দ্রজয়ের ৫০ বছর (সংকলন) (প্রথমা) : চাঁদ নিয়ে দেশের সুপরিচিত কিছু লেখকদের লিখার সংকলন।

১৬. যারা নির্দিষ্ট কোনো সৌর-বস্তুর উপর মোটামোটি বিস্তারিত জানতে চান তারা ড. প্রদীপ দেব এর “কিশোর বিজ্ঞান সিরিজ (মীরা প্রকাশন)” এর বইগুলো পড়তে পারেন – সূর্য, পৃথিবী, চাঁদ, বুধ, শুক্র।

১৭. Astronomy For Beginners – Jeff Becan : বিগিনার বলতে একেবারেই ছোটদের (ক্লাস ৬-৮) জন্য একটি সুন্দর বই। একঘেয়েমি না আসার জন্য কার্টুন নিয়ে সুন্দর ইলাস্ট্রেশন করা আছে। একেবারে বিগিনাররা ইংরেজিতে এটি দিয়ে শুরু করতে পারেন। এটি আসলে উপরিউক্ত বংলা বই গুলো থেকেও কম লেভেলের। উপরের বাংলা বই সমূহ পড়া হলে এটি না পড়লেও চলে। তবে, ইংরেজিতে বাংলায় বলা বিষয়াদির সাথে পরিচিত হবার জন্য পড়া দরকার।

১৮. The Complete Idiot’s Guide to Astronomy – Christopher de Pree / Alan Axelrod : ইংরেজিতে এ নিয়ে হাতেখড়ির স্ট্যান্ডার্ড বই। ১৭ নং বইটির পরের ধাপের জন্য। তবে সরাসরি এ বইটা পড়লেও হয়। অনেকে এর বদলে, “Astronomy for Dummies” বইটা সাজেস্ট করে থাকেন৷ Astronomy 101 বইটিও ওনেকটা একই রকম। তবে কম কথা, সোজা ভাষা।

১৯. Astronomy – A Self Teaching Guide – Dinah L. Moche : শুরু জন্য ভালো বই। লিস্টে দিলাম কারণ এটা টেক্সট বইয়ের প্রতি অধ্যায় শেষে যেমন অনুশীলন এর মত কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর লিখার জায়গা থাকে এমন টা আছে। নিজের যাচাইয়ের জন্য ভালো।

২০. Astrophysics for People in a Hurry – Neil Degrasse Tyson; (অনুবাদ আছে) : জনসাধারণের জন্য বর্তমানের ধারণা নিয়ে লিখা ভালো বই। বিগ ব্যাং থেকে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ, তমবস্তু (Dark Matter), তমশক্তি (Dark Energy), গ্রহ ও বাহ্যগ্রহ (exo-planet) এসব নিয়ে ঝটপট আলোচনা করা হয়েছে।

২১. Comet – Carl Sagan, Ann Druyan : ধুমকেতুর প্রকৃতি, তাদের ধরণ, ডাইনোসরের ধুমকেতুর মাধ্যমে বিলুপ্তি, আমাদের গ্রহে এদের ভূমিকা, এদের ক্ষতিকর রূপ, এদের ইতিহাস ও পুরাণ নিয়ে জন বোধ্য একটি অসাধারণ বই। বাংলায় কিশোর উপযোগী এমন একটা বই হল ড. আলী আজগর স্যারের ধুমকেতু। তবে বইটি দুর্লভ।

২২. Everything You Know About Space is Wrong – Matt Brown : জ্যোতির্বিদ্যা প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা দূরীকরণের জন্য ভালো একটি বই৷ তবে একটু কম বিশারদ আলোচিত হয়েছে।

২৩. Bad Astronomy – Phil Plait : Phil Plait আমার প্রিয় জ্যোতির্বিদদের একজন। এ বইও ভুল ধারণা দূর করতে লিখা। তবে আগের টি তুলনায় কম টপিক থাকলেও একটু বিশারদ আলোচিত হয়েছে। Phil-এর শুধুমাত্র ২টি বই আছে। দুটোই ভালো।

২৪. Death from the Skies! – Phil Plait : মহাকাশের ক্ষমতা কম নয়। আমাদের মেরে ফেলতে তার আছে নানান হাতিয়ার। গ্রহাণুর আক্রমণ, গামারশ্মি বিস্ফোরণ, সানবার্নসহ নানান অস্ত্র আছে তার। এ সব অস্ত্র ও তাদের আক্রমণ কেমন হবে তা নিয়েই এ বই লিখিত হয়েছে৷ এমন আরেকটি বই হল “The Coffee Table Book of Doom by Steven Appleby”

২৫. Astronomy: A Beginner’s Guide to the Universe – Eric Chaisson : এনাদের ২টি টেক্সট বই কে ছোট করে জনসাধারণের উপযোগী করে লিখা৷ বিগিনাদের পরবর্তী ধাপের জন্য ইনফরমেটিভ বই। তবে একটু কঠিন লাগতে পারে।

২৬. The Birth and Death of the Sun – George Gamow; অনুবাদ: ড. আলী আসগর (বাংলা একাডেমী) : নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু, বিশেষ করে সূয্যের জীবন নিয়ে সহজভাবে আলোচনা হয়েছে।

২৭. Death by a Black hole – Neil deGrasse Tyson : ব্লাকহোলে ঘুরতে গেলে কিভাবে সেখানে মিলিয়ে যাবে তার বিবরণ চলেছে এই বইতে। ব্লাকহোলদের মুক্তি বেগ যেহেতু আলোর বেগকেও তোয়াক্কা করে না তবে সেখানে উপস্থিত থেকে নিজের মৃত্যুার কথা অন্যকে জানানো তো দূরের কথা এই ওয়ান ওয়ে ট্রিপে স্পেস টাইমের সংকোচন ও দীর্ঘায়নে একজনের শরীরে কসমিক ইওগা করার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়ে যাবে। সেটা কখনই তার কম্পফর্টেবল লেভেলে থাকবে না মলিকিউলার লেভেল টপকের এটমিক লেবেলে গড়িয়ে যাবে যাকে বইয়ের ভাষায় স্পেগ্যাডেফিকেশন বলা হয়েছে।এছাড়া বইয়ের সাতটি অধ্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য ও দারুণ সব আলোচনা রয়েছে।

২৮. How I Killed Pluto and Why It Had It Coming – Mike Brown : স্কুলের পাঠ্যসূচিতে সাধারণ জ্ঞান নামের বই অনেকেই পড়েছেন। সেখানে লেখাছিল সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ “প্লুটো”। আবার পরে দেখেন এটি গ্রহ নয়। মহা মুশকিল! একবার বলে প্লুটো গ্রহ একবার বলে গ্রহ না৷ প্লুটোকে গ্রহের মর্যাদা বাতিল করার জন্য যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের একজন মাইকেল ব্রাউন। তিনি তার বইয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন কেন প্লুটো গ্রহ নয়। বইটা পড়ার সময় কোথাও বোরিং ফিল হওয়ার চান্স পাবেন না। কিভাবে তিনি ও তার দল এই কাজগুলো করলেন সেই গল্পগুলো দারুনভাবে তুলে ধরেছেন। বইতে কুইপার বেল্ট নিয়েও অনেক ভালো আলোচনা রয়েছে।

২৯. Watching The Universe – John Gribbin : সহজ ভাষায় লেখা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ের উপর একটি প্রবন্ধ সংকলন।

৩০. Catching Stardust – Natalie Starkey : লিখার স্টাইলের জন্য পড়তে কষ্ট বা অশান্তি লাগতে পারে, তবে ইনফরমেটিভ। ভূগোলের দৃষ্টিতে ধুমকেতু ও গ্রহাণুদের ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সাথে এদের গবেষণার নানান খুঁটিনাটি সাধারণের জন্য সহজে বলা হয়েছে।

৩১. Astrobiology – Andrew May: অন্য গ্রহে জীবের খোঁজ ও তাদের ডিটেক্ট করার উপায় সহ নানান বিষয় নিয়ে লিখা। বাংলায় এমন একটি বই হল “মহাজাগতিক প্রাণের খোঁজে – এমরান আহমেদ”।

২. Impact! – Gerrit Verschuur : অতীতে বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে এসে পড়া মহাজাগতিক বস্তুর ক্ষতিকর ঘটনা ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত লিখা।

৩৩. Universe: The Definitive Visual Guide – Colin Ronan : বইটা মূলত ” DK Universe ” নামে অধিক খ্যাত। বইয়ের শুরুটা নানান জাতের কণা থেকে শুরু করে পদার্থ, শক্তি, আপেক্ষিকতা আর কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে এক নজরে দেখে আসা। বইতে আছে বিগ ব্যাং, ইনফ্লেশান, কোয়ার্কের জন্ম, ফোটনের সূচনা, আস্তে আস্তে একেবারে শুরুর গ্যালাক্সি আর নক্ষত্রদের জন্ম, জীবনের সূচনা, বিকাশ ও মহাবিশ্বের পরিণতি। টেলিস্কোপ আর বাইনোকুলারের কথা, পূর্বপুরুষদের গল্প, মানবজাতির আকাশ জয়ের গল্প, সৌরজগত। সূর্যের করোনায় ভয়াবহ নরকের ওপাশে কি হচ্ছে, শুক্রে সাড়ে চারশো ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সালফিউরিক এসিড, জুপিটারের গ্রেট রেড স্পট, শনির বলয়। সূর্য লাল জায়ান্ট হয়ে গেলে কী হবে মানবজাতির শেষ ভরসা। আছে লাল দানব, নীল দানব, বাদামী বামন, প্রোটস্টার আর ব্ল্যাক হোল। নক্ষত্রের বিবর্তন। আকাশের আর্ট গ্যালারি জাত-বেজাতের নেবুলা, নিউট্রন তারা, সুপারনোভা। নানান জাতের গ্যালাক্সি, ঝলমলে কোয়াজার, গ্যালাক্সি ক্লাস্টার। বাকিটা তারা দেখা নিয়ে। সেখানে ম্যাপ চেনাবে। চেনাবে কন্সটেলেশন। শেষে আছে প্রতি মাসের স্কাই ম্যাপ।

৩৪. Cosmic Habitat – Martin Rees : মহাবিশ্বে আমাদের টিকে থাকা, জীবন, আমাদের ভবিষ্যতে মহাবিশ্বে বসবাস নিয়ে লিখা।

৩৫. Pale Blue Dot – Carl Sagan : কসমস বইয়ের সিকুয়্যাল। প্ল্যানেটারি সায়েন্স, মানুষের ভবিষ্যৎ জীবতে মহাবিশ্বের ভূমিকা, ভয়েজার ১ ও ২, এসব নিয়ে লিখা।

৩৬. More Things in the Heavens – M. Werner / P. Eisenhardt : বেশ কিছুদিন আগে আমরা নাসা’র Spitzer Space Telescope কে হারাই৷ এটি আমাদের মহাবিশ্বকে দেখার এক নতুন দরজা খুলে দিয়েছিল। ইনফ্রারেড আলোতে মহাবিশ্বের নানান অদেখা বস্তু এ টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা যেত। এই ইনফ্রারেড মহাবিশ্বের নানান বিষয় এ বইতে আলোচনা করা হয়েছে।

৩৭. Eyes on the Sky – Francis Graham-Smith : মূলত টেলিস্কোপ নিয়ে লিখা। গ্যালিলিওর টেলিস্কোপ থেকে শুরু করে আজকের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক টেলিস্কোপ, এদের কার্যপ্রণালী, সাথে এদের ঘিরে হালকা ইতিহাস ও আছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য বিরক্তিকর লাগতে পারে, আর বইটা পড়ার আগে টেলিস্কোপ বা অপটিক্স নিয়ে আগে হালকা পাতলা জানা থাকলে ভালো, না থাকলেও খুব একটা সমস্যা হবে না।

৩৮. Dr. Space Junk Vs. the Universe – Alice Gorman : মহাজাগতিক আর্কিওলজি নিয়ে লিখা বই। যারা আর্কিওলজি পছন্দ করেন তাদের এ বইটি ভালো লাগতেও পারে।

৩৯. Exoplanets – Summers / Trefil : এক্সোপ্লেনেট এর উপর ভালো বইগুলোর একটি। এখানে নানান গুরুত্বপূর্ণ এক্সোপ্লেনেট যেমন : পালসার-কে কেন্দ্র করে ঘূর্ণনশীল, ডায়মণ্ডের তৈরি, বেশিরভাগই পানি সহ নানান এক্সোপ্লেনেট নিয়ে আলোচনা আছে। জনসাধারনের উপযোগী বই।

৪০. Facts From Space! – Dean Regas : এ বইটি আনন্দের জন্য পড়তে পারেন, জানার জন্যও পড়তে পারেন, অথবা উভয়ের জন্যও পড়তে পারেন। ছোট-বড় সকলের জন্য এ বই। আকাশ – মহাকাশ নিয়ে নানান মজার বিষয় এ বইতে বিদ্যমান।

খ) জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞান :

১. আইনস্টাইন , আপেক্ষিকতা ও মহাবিশ্ব – তৌহিদুর রহমান উদয় : বইটা বেশ ভালো। তবে পড়ার আগে আপেক্ষিকতা নিয়ে হালকা জানা থাকলে আরো ভালো। বইতে ভালোই সিকুয়েন্স মেইনটেইন করা হয়েছে।

২. জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান পরিচিতি – ফারসীম মান্নান মহাম্মদী : বইটি একটু কঠিন ও দুর্লভ। বুঝতেই পারছেন পদার্থবিজ্ঞানের উপর লিখা। বইতে বিশ্ব সৃষ্টি, আপেক্ষিকতা, ছায়াপথের পদার্থবিজ্ঞান, নক্ষত্রের ভেতরের অবস্থা সহ মহাবিশ্বের অন্তিম নিয়তি নিয়ে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় আলোচনা রয়েছে।

৩. মহাকর্ষ – তৌহিদুর রহমান উদয় : জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞানের গণিতের সাথে পরিচিত হবার জন্য বেস্ট একটা বই। এখানে জ্যোতি:পদার্থবিজ্ঞান ভিত্তিক অনেক সূত্রের সাথে সহজে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

৪. ফিরে ফিরে দেখা আমাদের এই মহাবিশ্ব – এ এম হারুন অর রশীদ (সাহিত্য প্রকাশ) : বাংলা ভাষায় বেস্ট বইগুলোর একটি। লেখক এখানে অনেক জটিল কথা মোটামুটি সহজ ভাষায় লিখেছেন। পদার্থবিজ্ঞানের আলোচনা ও সূত্র ও আছে, তবে তুলনামূলক কম। তবে টপিক গুলো বস্তুতপক্ষে কঠিন।

৫. নক্ষত্রের গান – বিমান নাথ : বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ডঃ বিমান নাথ এর “নক্ষত্রের গান” বইটি প্রকাশিত হয় আজ থেকে চৌদ্দ বছর আগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বইটিকে তেমনি প্রাসঙ্গিক এবং সদ্য রচিত বলে মনে হয়। বিজ্ঞানের ছাত্র বড় ভাই এবং বিজ্ঞানী হতে চাওয়ার সুপ্ত বাসনা মনে ছোট বোন টাপুরের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে বইটির প্রেক্ষাপট। আর তারাদের জীবনচক্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে বইটির মূল বিষয়বস্তু। বইটির একটি চমকপ্রদ দিক হচ্ছে বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সাথে সম্পর্কিত প্রচুর সংখ্যক ডাকটিকিটের ব্যবহার। এই ডাকটিকিটগুলোকে উপজীব্য করেই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এগিয়েছে টাপুর ও তার দাদার আলাপচারিতা। দূর আকাশের আলোর বাতি ঐ তারাদের জন্ম থেকে মৃত্যু এমনকি পুনর্জন্মের খুঁটিনাটি তথ্য জানতে হলে এই বইটি একটি অবশ্যপাঠ্য।

গ) পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদ্যা :
পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদ্যা হল জ্যোতির্বিদ্যার সবচে প্রাচীন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা। মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে আকাশের তারকারাজি দেখেছে, তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষকগণ এসমস্ত তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকাগুলোতে নক্ষত্রদের বিভিন্ন মন্ডলে ভাগ করা হয়েছে। পৃথিবীর একেক অংশে এসব নক্ষত্র ও নক্ষত্রমন্ডলের বিভিন্ন নাম। পরবর্তীতে সেই সব তালিকার সাহায্য নিয়েই গবেষকগণ তারার পূর্ণ মানচিত্র যাকে বলে Star Atlas, তৈরি করেছেন।

১. তারা পরিচিতি – মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (বাংলাদেশ এস্ট্রোনোমিকাল এসোসিয়েশান) : তারা পরিচিতি বইটি মূলত বাংলা ভাষায় বাংলাদেশে প্রকাশিত একটি তারা তালিকা এবং তারা মানচিত্রের বই। বিভিন্ন বিখ্যাত স্টার ক্যাটালগ ও স্টার এটলাসের সহায়তায় লেখক বাংলাদেশের অবস্থানের ভিত্তিতে এই বইটি তৈরি করেছেন। বই এর প্রথম অংশে পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদ্যার কিছু প্রাথমিক ধারণা, তারার শ্রেণীবিভাগ ও তারা মন্ডলের তালিকা দেয়া হয়েছে। তবে বইটির মূল আকর্ষণ হল মাসিক তারাচিত্র, যেখানে ইংরেজি বছরের প্রতি মাসের বাংলাদেশের আকাশের মানচিত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া সেই মানচিত্রে অবস্থিত তারা মন্ডল ও তারা সমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে। মানচিত্রে দেয়া তারাগুলো খালিচোখেই দৃশ্যমান। সুতরাং, খালি চোখে তারা এবং তারা মন্ডলী চেনার জন্য এ বই অসাধারণ কার্যকরী। (কলকাতার এমন ২টা ভালো বই আছে তবে বাংলাদেশ হিসেবে এখন বাদ দিলাম)

২. মেসিয়ের তারকাপুঞ্জ – শরীফ মাহমুদ ছিদ্দিকী(অনুপম) : বইতে মেসিয়ের সম্পূর্ণ তালিকা ও সেই সাথে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর বর্ণনা, তাদের প্রভা, কোন বস্তু কোন তারকা মন্ডলে অবস্থান করে এর এক পূর্ণাঙ্গ তালিকাও রয়েছে। সেই সাথে কয়েকটি মেসিয়ের বস্তুর আকাশে এর অবস্থানের ম্যাপ দেওয়া আছে।

৩. মহাকাশের নক্ষত্র-পরিচয় (অনুপম) – সৌমেন সাহা : রাতের আকাশ চেনার জন্য খুবই সাধারণ বই, খুব একটা সার্থক না। তবে বাংলায় “তারা পরিচিতি” বইয়ের অবর্তমানে চালাতে পারেন৷

৪. How We See The Sky – Thomas Hockey : দূরবীক্ষণ ছাড়া খালি চোখে জ্যোতির্বিদ্যা যেসকল জিনিস উপভোগ বা পর্যবেক্ষণ করা যায় তার উপর জনসাধারণের জন্য মোটামুটি বিশারদ করে লিখা।

৫. What to Look for in The Night Sky – Tom Van Holt : একটু বেশি সহজসরল বই৷ বাচ্চাদের মনে হতে পারে। মন্ডল, তাদের গল্প, কালের সাথে অবস্থান, প্রয়োজন মত টেলিস্কোপ নির্ণয়, আকাশের চিত্র ধারণ ও সেইসাথে নানান টিপস আছে এতে।

৬. Stargazing For Dummies – Steve Owens : উপরের ১,৩,৪ নং এর মতই। মোটামুটি ভালো তবে রিপিটেশন একটু বেশি।

৭. The Urban Astronomer’s Guide – Gregory L. Matloff : লাইট পলিউশন, এয়ার পলিউশন, ডাস্ট পলিউশন ও ধোয়ার কারণে শহরের আকাশ ভালভাবে দেখা যায় না; এসব সমস্যায় কীভাবে টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে হয় তাই এ বইতে তুলে ধরা হয়েছে । সেইসাথে আকাশের জিনিসগুলোকে কীভাবে দেখতে হবে তা চিত্রসহ ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে।

৮. Guidebook to the Constellations Telescopic Sights, Tales, and Myths – Phil Simpson : নিঃসন্দেহে ইংরেজিতে সেরা একটা বই। সৌখিন জ্যোতির্বিদদের জন্যেতো বটেই তবে প্রফেশনালদের জন্যেও সেরা একটা। এটা তারা পরিচিতির মতো হলেও অনেক ইনফরমেটিভ আর সাজানো। তবে বিগিনারদের এটা দিয়ে শুরু করতে মানা করব। আগে তারা পরিচিতি বা বাংলায় এমন বই পড়া উচিত সবার। তবে হা, এটা বিগিনার হিসেবে বেশ ভালো। আপনি ইংরেজি ভালো জানলে আর একটু আধটু আকাশ চিনলে এটা দিয়ে শুরু করেন৷ গুড লাক। ৮০০ পেইজের এই বইতে সবকিছুই ভালোভাবে কভার করা হয়েছে। খুবই বিশেষায়িত বই।

ঘ) জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস :

১. প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা (বাংলাদেশ এস্ট্রোনোমিকাল এসোসিয়েশান) – মোহাম্মদ আবদুল জব্বার : বইটিতে মিশরীয়, বেবিলনিয়, গ্রীক, মুসলিম যুগ, ভারতীয় ও চীন দেশের জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস সম্পর্কে এটা বাংলাদেশে নিঃসন্দেহে সেরা বই। বিশেষ করে প্রকাশের সময়কাল লক্ষ্য করলে বইটির পিছনে লেখকের শ্রম ও অধ্যবসায়ের কথা বুঝা যায়। অনেক তথ্যসমৃদ্ধ এই বইটিতে কেবলমাত্র দুটি নেগেটিভ দিক পরিলক্ষিত হয়েছে-১) কিছু তালিকা যা বর্তমানে ততটা গুরুত্ব বহন করে না, ২) পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে ইউরোপে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সময়কাল পর্যন্ত ইতিহাস বইয়ে উল্লেখ করা হয়নি। তবে প্রাচীন হিসেবে লিখা বিধায় একথা বিবেচনায় না আনলেও চলে।

২. আকাশ পট (বাংলাদেশ এস্ট্রোনোমিকাল এসোসিয়েশান)- মোহাম্মদ আবদুল জব্বার : ১৪টি তারকা মন্ডলের পুরাণ ও ইতিহাস নিয়ে বই। সাথে রয়েছে আকাশের তারকাচিত্রে এদের অবস্থান। এদের খুঁজে পাবার কিছু সাধারণ দিকনির্দেশনা। সেইসাথে রয়েছে মন্ডলের বিশেষ কিছু তারা, ছায়াপথের আলোচনা ও ইতিহাস । তবে বইয়ের মূল বিষয় হল তারকা মন্ডলের পুরাণ ও ইতিহাস। তবে মিথলজির বেসিক কথা জানা থাকলে বইটা পড়তে বেশি সুবিধা হবে। জানা মতে গ্রিক মিথলজির জন্য একটি বেসিক ভালো বই হল “Edith Hamilton” এর লিখা “Mythology”।

. প্রাচীন ভারতে জ্যোতির্বিজ্ঞান – অরূপ রতন ভট্টাচার্য (দ্বেজ – কোলকাতা) : বাংলায় রচিত সেরা বইগুলোর একটি, ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ইতিহাস, আমাদের বছর গণনা, রাশি – নক্ষত্র, পৃথিবীর – চন্দ্রের আকার, আয়তন, আবর্তন, গণনা ইত্যাদি সহ ভারতের নানান যুগে এদের ইতিহাস নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা রয়েছে।

৪. ইউডক্সাসের গোলক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ – ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী (দিব্য) : বইটা বাংলাদেশের জ্যোতির্বিজ্ঞান ইতিহাসের সেরা বইগুলোর একটি। প্রাচীন থেকে শুরু করে মুসলিম তারপর আধুনিক যুগ, ভেতরের নানান ঘটনা : কিভাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের শুরু, বাঙালী জ্যোতির্বিদের কথাও বাদ পড়ে নি এ বইতে।

৫. প্রাচীন ভারতীয় গণিত ও জ্যোতির্বিদ (অনুপম) – সৌমেন সাহা: বইটার আলোচ্য বিষয় হলো প্রাচীনে ভারতীয় গণিত, গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদদের আবিষ্কার ও অবদান।

৬. পুরাণ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান – শাহনাজ পান্না: জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে মিশে আছে প্রাচীন কালের নানান কাহিনী। বিভিন্ন দেশে অতীতে বিভিন্ন তারা, তারকা মণ্ডলকে দেওয়া হত নানান নাম, নামের পেছনেও ছিল নানান লোককাহিনী ও ইতিহাস। এ নিয়েই লেখা এ বই। বইটা “আকাশ পট” বইয়ের মতো। তবে আকাশ পট বইয়ের বাহিরের নানান বিষয় এ বইতে বিদ্যমান। বাংলাদেশ আবদুল জব্বার স্যারের “আকাশ পট” বাদে এটিই এ ধাঁচের ২য় বই।

. Coming of Age in the Milky Way – Timothy Ferris: এই ক্লাসিক বইটি আমাদের ভ্রমন করায় সেই দ্বিতীয় শতাব্দীর টলেমির স্বর্গীয় মডেল গুলো থেকে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত কোয়ান্টাম তত্ব পর্যন্ত, যেখানে উল্লেখ রয়েছে জৌতিঃবিদ্যা কিছু মহাজ্ঞানী ব্যাক্তিত্তের কথা যারা এই পুরো ইতিহাসটা গঠনে সহায়তা করছেন। মানব সভ্যতার প্রথম থেকেই যেসকল মানুষেরা এই বিশাল মহাবিশ্বের সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান রেখেছিলেন। এতে তাদের অবশ্যই সংগ্রাম করতে হয়েছে তৎকালিন সমাজিক ও রাজনৈতিক কুসংস্কার এর বিরুদ্ধে। উক্ত বইটিতে টিমোথি ফ্যারিস্ তার অসামান্য লেখনি দিয়ে আমাদের দেখাতে চেয়েছেন সেই কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল গুলো যা আমাদের মুগ্ধ করে ফেলবে এবং তাদের দেখানো পথে অনুসরণ করতে সহায়তা করবে।

৮. Star Maps – Nick Kanas: এক যুগের মানুষদের জীবনযাত্রা এবং জ্ঞান অর্জনের উপর এর আগের যুগের যে কি পরিমান প্রভাব থাকে তা বুঝতে এই বইটি পড়া যায়। সান ফ্রান্সিসকোর বে এরিয়ায় লেখক নিক কানান তারাদের মানচিত্র এবং চার্টের সংগ্রাহক। তিনি বহু বছর ধরে এগুলো সংগ্রহ করেছেন। বইটিতে তিনি শুধু মানচিত্র নিয়েই আলোচনা করেন নি, বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতার সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে খুব বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

৯. What We See in the Stars – Kathe Yuksel / Rosemarie Gillen: এ বইটি লিস্টে দেওয়ার প্রধান কারণ, ইলাস্ট্রেশনে ভরপুর। ইলাস্ট্রেশন করা তারামণ্ডলের সাথে সংযুক্ত মিথলজি আর ২-১টা তারার কথা। সত্যি বলতে ছোটদের জন্য বেস্ট বই৷ তবে ইলাস্ট্রেশন প্রেমি হলে এটা আপনার জন্য। জানামতে অন্যকোনো বইতে এমন ইলাস্ট্রেশন নেই।

১০. Myths, Symbols and Legends of Solar System Bodies – Rachel Alexander: আমাদের সৌরজগতের বস্তুগুলোর নাম পুরাণ থেকে নেওয়া, এসব নামের পেছনে আছে অনেক কল্পগল্প। আবার এদের বোঝাতে রয়েছে চিহ্ন, একেক বস্তুর একেক চিহ্ন। আর এসবের বিস্তারিত নিয়ে এ বইটি লেখা।

১১. The Story of Astronomy – Jefferson Weaver and Lloyd Motz : যতটুকু শুরু থেকে সম্ভব তা থেকে মোটামুটি সম্পূর্ণ ভাবেই সব ডিটেইলস এ আলোচনা হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান যেহেতু গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সাথেও জড়িত তাই এদের ইতিহাসও এখানে স্থান পেয়েছে।

ঙ) গাণিতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান :
এ ক্যাটাগরি অলিম্পিয়াডের জন্য সাহায্য করবে।

১. গাণিতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান – আ. সা. মোঃ নুরুজ্জামান : “রেয়ার বই, রিভিউ পাই নি, বইটা আমার কাছেও নেই।”

২. জ্যোতির্বিদ্যা – কালিপদ দাশ :অনার্সের ম্যাথের একটা কোর্সের বই এটা সম্ভবত। অলিম্পিয়াড কিংবা জানার জন্য… কোনোটার জন্যই এটা সরাসরি বা প্রথমে ধরা যাবে না। ফিজিক্স নেই বললেই চলে তবে খুব প্যাঁচানো ক্লাসিক ম্যাথেমেটিকস আছে!! ইন্টারের ম্যাথ দিয়েও ঠিক বোঝা যাবে না বইটা। বেশ কঠিন।

৩. সবার জন্য জ্যোতির্বিদ্যা – সৈয়দা লামমীম আহাদ, ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী (তাম্রলিপি) : এটা সেমি পপ বই। যারা প্রথমদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ম্যাথমেটিক্যাল টার্মের সাথে পরিচিত হতে চান তাদের জন্য এ বই অনেক কার্যকরী। ম্যাথ ছাড়াও এ বই পড়ে অনেকটাই বুঝা যাবে।

৪. জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞান: লক্ষ যখন অলিম্পিয়াড (অনুপম) – শাকিব মুসতাভী : নাম থেকেই বুঝতে পারছেন। ভেতরে ভালোই ম্যাথমেটিক্যাল বিষয় আছে।

৫. জ্যোতির্বিজ্ঞানের সহজ পাঠ (অনুপম) – সৌমেন সাহা : ভালোই ম্যাথমেটিক্যাল জিনিস আছে। যেমন : পৃথিবীর পরিধি নির্নয়, অক্ষাংশ ও দ্রাঘীমাংশ, কেপলারের গ্রহগতি সূত্রাবলী ইত্যাদি। তবে সত্যি বলতে, ইন্টারের বইতে এগুলো আছে। সেগুলো পড়লে এ বইটা আর পড়ার প্রয়োজন নেই।

৬. SCHAUM’S OUTLINES- ASTRONOMY- STACEY PALEN : ইংরেজিতে বিগিনারদের জন্য এ বইটা বেস্ট। বিশেষ করে অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নিতে চাইলে আজই এটা থেকে অংক করা শুরু করে দিন।

৭. A Student’s Guide to the Mathematics of Astronomy Daniel Fleisch, Julia Kregenow: এটাও গণিতের জন্য ভালো, তবে উপরেরটার চাইতে এডভান্সড। ওটার পর এটা থেকে ট্রাই করে পারেন।

) সৃষ্টিতত্ত্ব বা বিশ্বতত্ত্ব :

১. কণাজগৎ ও মহাজগৎ (প্রকৃতি-পরিচয়) – মল্লিকা ধর : ৮০ পৃষ্ঠার এই ক্ষুদ্রাকার বড় পকেট সাইজ বইতে আছে অনেক বেসিক কথাবার্তা। জনসাধারণের জন্য অ-গাণিতিক ভাবে লেখিকা কণা জগতে (কোয়ান্টাম মেকানিক্স) ঘুরিয়ে আস্তে আস্তে নিয়ে গেছেন মহাজাগতের দিকে, বইটির নামকরণ আসলেই সার্থক। কসমোলজির হাতেখড়ির জন্য আমি যে কাউকে প্রথমেই এ বই পড়তে বলব। তবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বাংলায় “চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স – নাঈম হোসেন ফারুকী” বইটিও সেরা একটি বই। বইটিতে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বিস্তারিত সহ নক্ষত্রের জীবন, সিমিউলেটেড ইউনিভার্স, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড, মাল্টিভার্স, স্ট্রিং তত্ত্ব, ইনফ্লেশ ইত্যাদির সংক্ষিপ্ত আলোচনা আছে।

২. আকাশ ভরা সূর্য তারা: কসমোলজির সেকাল একাল (দ্যু) – বিজন সাহা: এই বড় পকেট সাইজ বইতে প্রথমেই বলা আছে কসমোলজি কি। তারপর এর প্রাচীন থেকে আধুনিক ইতিহাস সংক্ষেপে আলোচনা হয়েছে। তবে গর গর করে নয়, আধুনিক ইতিহাসে রয়েছে প্রয়োজনীয় ছোটখাটো ব্যাখ্যা। মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ, আকার, ডার্ক এনার্জি নিয়ে সাধারণ আলোচনা। সত্যি বলতে আধুনিক ধারণায় লিখা বাংলায় কসমোলজির নানান বিষয়ে পরিচিত হবার ভালো বইগুলোর একাটি। এ বই দিয়েও হাতেখড়ি নেওয়া যায়। তবে আমি ১ নং বই পড়ে বাংলায় সরাসরি এ বইটা পড়তে বলব।

৩. কৃষ্ণবিবর – ড. জামাল নজরুল ইসলাম (বা.এ.): বইটি বেশ কিছু চ্যাপ্টারে বিভক্ত। প্রথম দিকে তিনি আলোচনা করেছেন মৌলিক কণাগুলো নিয়ে; কোয়ার্ক থেকে প্রোটন-নিউট্রন এদের চার্জ, ইলেকট্রন, পরমাণু ইত্যাদি। এসব আলোচনার প্রসঙ্গেই একে একে চলে আসে মৌলিক বলগুলোর কথা, মহাকর্ষের কথা। অত:পর পর্যায়ক্রমে আসে নক্ষত্রের মৃত্যু, ব্ল্যাকহোল, কোয়েজার ইত্যাদির আলোচনা। এছাড়াও বইটিতে ব্যাখা করা হয়েছে ব্ল্যাকহোল চিরস্থায়ী নয় কেন; বোসন, ফার্মিওন কণা কী এবং এদের ধর্ম; নিউট্রনের বিটাক্ষয়; নক্ষত্রের ভেতর ঘটতে থাকা ফিউশন বিক্রিয়া ইত্যাদি। ছোটোখাটো এই বইটিকে শুধু সহজবোধ্য করেই লেখা হয়নি, পাশাপাশি করা হয়েছে তথ্যপূর্ণ।

৪. মহাবিশ্বের প্রথম আলো – বিমান নাথ (অনুষ্টুপ – কোলকাতা): এটি বাংলায় লিখা একটি আন্তর্জাতিক মানের বই। মহাবিশ্বের সূচনাপর্ব থেকে শুরু করে নক্ষত্রসৃষ্টি পর্ব পর্যন্ত এ রকম ইতিহাস শুধু বাংলায় কেন, যে কোন ভাষাতেই দুর্লভ। Cosmology নিয়ে বাংলায় লেখা গ্রন্থসমূহের মধ্যে এ গ্রন্থটি একটি মাইলফলক। জটিল বিষয়বস্তুর উপর লেখা হলেও তুলনামূলক সহজ ভাষায় এবং যতোটা সম্ভব জনবোধ্যভাবে বইটিকে উপস্থাপন করেছেন লেখক। বিগব্যাং নামক মহাবিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বের ক্রমসম্প্রসারণ, তারাদের জন্ম, অন্ধকার ব্রহ্মান্ডে জ্বলে ওঠা প্রথম আলো, গ্যালাক্সিদের গঠন ও ক্রমবিকাশ, স্থানকালের জ্যামিতিতে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের প্রাঞ্জল কিন্তু বিশদ ব্যাখ্যা ইত্যাদি ছাড়াও আলোচনার খাতিরে আরো বিচিত্র সব বিষয়বস্তুর অবতারণা করেছেন তিনি। অল্প কথায় বলতে গেলে, মহাবিশ্ব সূচনার প্রথম ক্ষণ থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত সময়কে লেখক বেশ দক্ষতার সাথে লিপিবদ্ধ করেছেন। বিশ্বসৃষ্টিতত্ত্বের রসাস্বাদনের ইচ্ছে থাকলে এই বইটি একটি অবশ্যপাঠ্য হিসেবে পরিগণিত হবে।

৫. ডার্ক ম্যাটার (প্রকৃতি-পরিচয়) – ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী : ডার্ক ম্যাটার ও এনার্জি নিয়ে বাংলায় ভালো একটি বই। সহজভাবেই এনিয়ে আলোচনা রয়েছে বইটিতে। এ বইতে মূলত এদের সম্পর্কে যেসব বিষয় না জানলেই নয় এমন বিষয় নিয়ে মূল আলোচনা করা হয়েছে। বইটা পড়ে এ নিয়ে আরো কিছু সহজে জানতে চাইলে আবদুল গাফফার রনি’র লিখা “গুপ্ত মহাবিশ্বের খোঁজে (প্রথমা)” বইটি পড়তে পারেন।

৬. মহাবিশ্বে মহাকাশে – গৌরীপ্রসাদ ঘোষ(১৯৯৫, কারিগর, ভারত): একটু আগের বই। তবে বাংলায় লিখা বেশ ভালো একটি। আইন্সটাইনের সহ কসমোলজির আরো অনেক থিওরি ভালোভাবে আলোচনা করেছেন।

৭. মানুষ ও মহাবিশ্ব- শিশিরকুমার ভট্টাচার্য (সময় প্রকাশন) : মানুষের সাথে মহাবিশ্বের সম্পর্ক ও মহাবিশ্বকে সহজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

৮. আলো হাতে চলিয়াছে আধারেরও যাত্রী – অভিজিৎ রায় (অঙ্কুর): পৃথিবীর সৃষ্টি ও বিজ্ঞানের বিকাশ নিয়ে লিখা।

৯. মহাবিশ্বের শিকড়ের সন্ধানে- আবদুল্লাহ আল মাহমুদ: মহাজাগতিক পটভূমি নিয়ে লিখা।

১০. মহাজাগতিক মহাকাব্য- শিশিরকুমার ভট্টাচার্য (অবসর): বিশ্বতত্ত্ব, নাক্ষত্রিক বিজ্ঞান, ছায়াপথ, মহাবিশ্বের জীবন এসব নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখা বাংলায় দারুণ একটি বই।

১১. শূন্য থেকে মহাবিশ্ব – মীজান রহমান,অভিজিৎ রায়: প্রথম দিকে ইতিহাস ও আস্তে আস্তে সামনের দিকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও অস্তিত্ব নিয়ে মোটামুটিভাবে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

১২. ব্ল্যাকহোল – শিশিরকুমার ভট্টাচার্য (অবসর): যারা ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না বা জানতে ইচ্ছুক তাদের জন্যে বাংলায় ভালো একটি বই। লেখক এখানে দুম করে পাঠকের সামনে ব্ল্যাকহোলের মতো ভারি জিনিসকে উপস্থাপন করেননি। প্রথমেই সহজ কথায় বলেছেন ব্ল্যাকহোল কী? তারপর ব্ল্যাকহোলের অবস্থান। গ্র‍্যাভিটি নিয়েও আছে অসাধারণ আলোচনা; নিউটন এবং আইন্সটাইনের গ্র‍্যাভিটি সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ধারণা এবং তত্ত্বদ্বয়ের উদ্ভব কিভাবে তার কথা বলা হয়েছে। রয়েছে প্রকৃতিতে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন বল, মহাবিশ্বের মৌলিক কণা, প্রতিকণা, প্রতি মহাবিশ্ব ইত্যাদির বর্ণনা। নক্ষত্র কীভাবে ব্ল্যাকহোল হয়ে ওঠে, ব্ল্যাকহোল তত্ত্ব কোত্থেকে এলো, মহাবিশ্বের অন্তিমদশাও কী ব্ল্যাকহোলে? এরকম বিভিন্ন প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর দেয়া হয়েছে বইটি জুড়ে।

১৩. কৃষ্ণবিবর – অভীক রায়: ২০১৮ এর বই, বুঝতেই পারছেন উপরের ২টা থেকে আপডেটেড। একটু কঠিন লাগতে পারে। বইটা ভালোই বেসিক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে সামনে অগ্রসর হয়েছে। সাথে কিছু ইকুয়েশন আছে, বেশ থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স আছে। তবে কৃষ্ণবিবর পিপাসুদের জন্য আবশ্যক। একটু ভারি পপ – সাইন্স বই।

১৪. মহাবিশ্বের সীমানা (অন্বেষা) – আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ : কেমন হয়, যদি ১৩৭০ বিলিয়ন বছরের গল্প একটা বইয়ের দুই ফ্ল্যাপের ভাঁজে লিখে ফেলা হয়? হ্যাঁ, এটা সেরকমই বই। এ মহাবিশ্বের উৎপত্তি ১৩৭০ বিলিয়ন আগে। এর আগে কি ছিলো? মহাবিষ্ফোরণের পর থেকেই সম্প্রসারণ হচ্ছে এ মহাবিশ্ব, কিন্তু কোথায় সম্প্রসারিত হচ্ছে? কি আছে এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারিত হতে থাকা শেষ দেয়ালটার ঠিক অপর পাশেই? এই কৌতূহল জন্মানো প্রত্যেকটা প্রশ্নের চমৎকার আর তথ্যবহুল ব্যাখ্যায় সমৃদ্ধ এ বইটি। এ সংক্রান্ত সকল ব্যাখ্যার বেশ গভীরে প্রবেশ করে সাম্প্রতিক ধারণার আলোকে আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি বইটিতে আকাশ পর্যবেক্ষণ ও এস্ট্রোনোমিকাল আরো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসহ জেনারেল রিলেটিভিটি তত্ত্ব নিয়েও তথ্যবহুল আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। এ বইটা একটা জার্নি। বইটা খুলেই ঢুকে পড়ুন ৯২.০১৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আমাদের বাড়ির এই গল্পে।

১৫. সময় প্রসঙ্গ (অনিন্দ্য) – ড. আলী আসগর : সময় কি? আমরা সময় কিভাবে অনুভব করি? আপেক্ষিকতার তত্ত্ব, কোয়ান্টাম সংখ্যানিক বিদ্যা, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা, মহাবিশ্বের সৃষ্টি তত্ত্ব, কৃষ্ণ বিবরে আপেক্ষিকতার সাধারণতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রয়োগ এবং স্ট্রিং তত্ত্বে সময়ের নতুন বৈশিষ্ট্য এসব নিয়ে আলোচনা রয়েছে বইতে। অনেকে আবার সময় বলতে, শুধু টাইম ট্রাভেল নিয়ে আগ্রহী তারা চাইলে “হিমাংশু কর” এর “টাইম ট্রাভেল (তাম্রলিপি)” বইটি পড়তে পারেন।

১৬. থাকে শুধু অন্ধকার (প্রকৃতি-পরিচয়) – ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী : মানবজাতির ভবিষ্যৎ, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ, মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ কী? এসব উত্তরের অনুসন্ধান নিয়ে লিখা। এটি পড়ার পর আগ্রহী ব্যক্তিগণ এ নিয়ে আরও জানতে স্যার মার্টিন রিস এর “On the Future” বইটি পড়ে পারেন।

১৭. রহস্যময় ব্ল্যাকহোল – ড. জাফর ইকবাল (কাকলী) (কসমোলজি) : ব্ল্যাক হোল আবিষ্কারের ইতিহাস, কত প্রকার, ব্ল্যাক হোলে পড়লে কি হবে এসব নিয়ে লেখা ছোটদের বই। ক্লাস ফাইভ সিক্সের ছেলে মেয়েদের ব্ল্যাক হোলের প্রথম পাঠ হিসাবে উপযুক্ত হতে পারে। জাফর ইকবাল মজা করে লিখতে পারেন, পড়ে আনন্দ পাবে। এটা মূলত জানার বই, বোঝার না, কি কেন কিভাবে এসবের ব্যাখ্যা নাই।

১৮. The First Three Minutes – Steven Weinberg : নাম দেখেই বুঝতে পারছেন। এ বিশ্ব সৃষ্টির প্রথম কয়েক মুহূর্তের কথা এখানে অ-গাণিতিক ভাবে বিশারদ আলোচনা করা হয়েছে।

১৯. The Ultimate Fate Of The Universe – J.N. Islam : মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে অসাধারণ অ-গাণিতিক ভাবে জনসাধারণের জন্য লিখা বেস্ট কসমোলজি বইয়ের একটি। তবে বইয়ের কিছু বিষয় আপডেট প্রয়োজন।

২০. The Five Ages Of The Universe – Fred Adams / Greg Laughlin (1998) : আমার দেখা বেস্ট বইগুলোর একটা, আমাদের এই মহাবিশ্বকে ৫টি যুগে ভাগ করে অসাধারণ ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

২১. The Last Three Minutes – P. Davies : ফার্স্ট থ্রি মিনিটস পড়লে লাস্ট থ্রি মিনিটস নিয়ে জানার ইচ্ছে এম্নিতেই হবে। মহাবিশ্বের শেষ পরিণতি কি ও কিভাবে হবে তা নিয়ে এটি লিখা।

২২. Cosmos – Carl Sagan ; অনুবাদ – আসাদ ইকবাল মামুন (ঐতিহ্য) : গল্পে গল্পে কার্ল সাগান ১৩ টা অধ্যায়ের মাধ্যমে আপনাকে ঘুরিয়ে আনবে মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে। পৃথিবীর একদিনেই সুজলা সুফলা হয়ে উঠেনি একে পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘপথ আবার সেই পথে এসেছে অনেক বাঁধা বিপত্তি আর এই পথে মানবজাতির সংযোজন যেন কিছুকাল আগে। এই ভ্রমনকাহিনী জানার জন্যই বইটি আপনাকে পড়তে হবে। আমাদের সৌরজগতের বাইরে কি বুদ্ধিমান প্রাণী থাকা সম্ভব? থাকলেও মিলিয়ন বছর এগিয়ে থাকা কোনো সভ্যতা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে কেন? মঙ্গলেই কেন বসতি স্থাপনের এতো প্রচেষ্টা ভেনাসে কেন নয়? নক্ষত্রের জন্ম মৃত্যু কাহিনি সবই আছে বইটিতে।

২৩. A Universe from Nothing – Lawrence M. Krauss : বিগ ব্যাং এর কি প্রমাণ আছে? এর আগে কি হয়েছিল? কিভাবে জন্ম এই মহাবিশ্বের? কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশান নাকি অন্য কিছু? শূন্য থেকে কি কিছু হতে পারে? কেন ইউনিভার্স আছে? কেন অসীম শূন্যতা নেই? এসবের উত্তর দেয় এ বই।

২৪. The Cosmic Revolutionary’s Handbook – Geraint F. Lewis & Luke A. Barnes : একটু কঠিন তবে জনসাধারনের জন্য লেখা। বইটায় বিগ ব্যাং সহ অন্যান্য থিওরি কেন গ্রহণ করবেন, এদের ঝামেলা কোথায় আবার কোথায় নয় এসব নিয়ে খুবই যৌক্তিক ব্যাখ্যা সহ সায়েন্স কিভাবে কাজ করে ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের নানান বিষয় ভালো বর্ননা করা হয়েছে।

২৫. The 4 percent Universe – Richard Panek : প্রকৃত পক্ষে ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি – দের পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীদের নানান উপায় নিয়ে লিখা।

২৬. The Universe in a Nutshell – Stephen Hawking : ব্রিফ হিস্টরি অব টাইমের সিকুয়্যাল বই। কোয়ান্টাম মেকানিক্স, এম-থিওরি, সুপারস্ট্রিং এসব নিয়ে ভালো ইলাস্ট্রেটেড সহ লিখা।

২৭. Brief Answers to the Big Questions – Stephen Hawking; (অনুবাদ আছে) : কিভাবে মহাবিশ্বের শুরু হলো? ব্লাকহোলের ভেতরে প্রবেশ করলে কি হবে? মহাবিশ্বের অন্য কোথাও কি প্রাণ আছে? সময় ভ্রমণ, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ, মহাশূণ্যে বসতি স্থাপন ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় টপিক সহ ঈশ্বরের মতো বিতর্কিত বিষয়ও বাদ যায়নি। বইটি একদমই সহজ সরল ভাষায় লেখা হয়েছে। বিগ ব্যাং, সিঙ্গুলারিটি, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন, ইনফরমেশন প্যারাডক্স ইত্যাদি সম্পর্কে খুবই বিগিনার লেভেলের আইডিয়া পাবেন। যেহেতু সবার উদ্দেশ্যে লেখা তাই যাদের প্রশ্নোত্তরগুলো সম্পর্কে জ্ঞান আছে তারা একটু বিরক্ত হতে পারেন সরলিকরণের কারণে।

২৮. The Theory of Everything – Stephen Hawking; (অনুবাদ আছে) : সহজভাবে অতীত ও বর্তমানের নানান জটিল থিওরি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

২৯. Black Holes and Baby Universes and Other Essays – Stephen Hawking (অনুবাদ আছে): বইটায় মূলত ব্ল্যাকহোল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কেন এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। হকিং বইতে ব্ল্যাকহোলের তাপগতিবিজ্ঞান, মহাকর্ষীয় আপেক্ষিকতা, সাধারণ আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান বিষয় তুলে ধরেন। এছাড়া বইতে উনার যৌবনকাল এবং মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরের জীবনকালের বর্ণনাও দিয়েছেন।

০. The Grand Design – Stephen W. Hawking; (অনুবাদ আছে) : সময় কি? রিয়েলিটি কি? কোনটা রিয়েল কোনটা না? আমরা কি আসলেই কোন মহান ডিজাইনের অংশ? এসব উত্তরের সন্ধানে জনসাধারনের জন্য এ বই।

৩১. A Brief History Of Time – Stephen W. Hawking; অনুবাদ: সাখাওয়াত হোসেন : অনেক দিন ধরেই ইন্টারনেশনাল বেস্টসেলার তালিকার শীর্ষে ছিল। বইতে আছে রিলেটিভিটির কথা, কিভাবে সূয্যিমামার ভর স্পেস টাইমকে বাঁকায় তার কাহিনী। তবে বেশ মনযোগ দিয়ে পড়া উচিত, নতুবা অনেক সময়ে বিভ্রান্ত হতে পারেন। তবে একটি সহজবোধ্য ও আপডেটেড সিকুয়্যাল হল “The Briefer History of Time.” প্রথমটা না পড়ে এটাও সরাসরি পড়া যায়।

৩২. In Search of Big Bang – John Gribbin : একটু পুরাতন। তবে পরের এডিশনে (১৯৯৮ সাল) আপডেট করেছে কিছু৷ সহজভাবে মহাবিশ্বের আদি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

৩৩. Black Holes & Time Warps – Kip Throne / S.W. Hawking : সাধারণ ও বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব, নক্ষত্রের তত্ত্ব, কৃষ্ণবিবর ও ওয়ার্মহোলদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

৩৪. The Hidden Reality – Brian Greene : সম্ভাব্য প্যারালাল ওয়ার্ল্ড আর মাল্টিভার্স নিয়ে আগ্রহী সকলের এই বই পড়া উচিত।

৩৫. From Eternity to Here – Sean Carroll : মূলত সময় নিয়ে লিখা। সময়ের তীর, এন্ট্রোপি এসব নিয়ে অত্যন্ত ব্যাখ্যা মূলক বই। একটু কঠিন লাগতে পারে।

৩৬. Parallel Worlds – Michio Kaku : বইয়ের ১২ টা অধ্যায় তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ সাজানো রয়েছে বিগ ব্যাং ও তারপর ঘটে যাওয়া মহাবিশ্বের উন্নয়ন ও পরিণতি এবং এই বিষয়গুলো কিভাবে মাল্টিভার্সের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। দ্বিতীয় অংশে আছে এম-থিউরী ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর শুরুর সময়ের কিছু আলোচনা এবং ভবিষ্যতে টেকনলজি ওয়ার্মহোল তৈরি করতে সক্ষম হবে কিনা এমন কিছু বিষয়। তৃতীয় অংশ ভরপুর আছে বিগ ফ্রিজ তত্ত্ব ও হাইপারস্পেস ওয়ার্মহোল হয়তো সাহায্য করতে পারবে মানবসভ্যতা ও জীবনকে অন্য কোন মহাবিশ্বে পাড়ি জমাতে এমন সকল আলোচনায়। বিস্তারিতভাবে এর ভিতর পাওয়া যাবে স্ট্রিং থিউরি,পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন তত্ত্ব,অনেক পদার্থবিদ মহারথিদের জীবন জড়ানো কাহিনি ও সেই সম্পর্কিত শুবিশাল আলোচনা।

৩৭. Big Bang – Simon Singh : বিগ ব্যাং নিয়ে অবশ্য পাঠ্য বইয়ের একটি। বিগ ব্যাং কী, এর ইতিহাস ও নানান বিষয়ে পর্যালোচনাসহ ভালো এনালাইসিস আছে।

৩৮. The Cosmic Web – J. Richard Gott : আমাদের মহাবিশ্বের বিবর্তন ও এর আকার নিয়ে আধুনিক চিন্তাধারায় এ বইটি লিখা৷ সাথে কিছু ইতিহাস আছে। হালকা ম্যাথ আছে। বইটা পড়ার আগে ম্যাথ আর জ্যোতির্বিজ্ঞানের কিছু বেসিক জিনিস জানা থাকলে ভালো।

৩৯. Rare Earth – P. Ward / D. Brownlee : একটি গ্রহে জীবন থাকার জন্য কি কি লাগবে?, পৃথিবীতে জীবন, মহাবিশ্বের অন্যপ্রান্তে জীবন এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এ ফিল্ডের বেস্ট একটি বই। পড়ে বুঝবেন পৃথিবী আসলেই রেয়ার।

৪০. The Fabric of the Cosmos – Brian Greene : স্পেস-টাইম, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, স্ট্রিং তত্ত্ব, ইনফ্লেশনারী ইউনিভার্স এসব নিয়ে জনসাধারনের জন্য ভালো বই।

৪১. Galaxies: A Very Short Introduction – John Gribbin : ছায়াপথের উপর ঝটপট ও সহজবোধ্য বই। আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ নিয়েও ভালোই আলোচনা রয়েছে।

৪২. Dark Side of the Universe: Dark Matter, Dark Energy, and the Fate of the Cosmos – Iain Nicolson : নাম দেখেই বুঝতে পারছেন। জনসাধারনের জন্য ডার্ক নিয়ে ভালো বইয়ের একটি।

৪৩. Finding Our Place in the Universe – Hélène Courtois : মহাবিশ্বের জটিল ম্যাপে আমাদের অবস্থান কোথায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে এ বইতে।

৪৪. The Zoomable Universe – Caleb Scharf : মহাবিশ্বের একেবারে জানা বড় থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে জুম আউট করে ছোট আকারের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এ বই৷

৪৫. We Have No Idea: A Guide to the Unknown Universe – Daniel Whiteson and Jorge Cham: বইটা খুবই সহজ ভাষায় ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জ নিয়ে আলোচনা করা। ৯ম-১০ম শ্রেণি কিংবা জনসাধারনের জন্য এ বিষয়ে ইংরেজিতে ১ম বই হিসেবে শুরু করা যায়৷ বইটায় বেশ ভালো গ্রাফিক্স আছে, ছোটদের কথা মাথায় রেখে করা।

৪৬. Universal: A Guide To The Cosmos – Brian Cox / Jeff Forshaw : টেকনিক্যাল বই। কসমোলজির অনেক বিশদ আলোচনা রয়েছে। এটা সরাসরি পপ ধরনের না, রিয়েল সায়েন্স, তাই বইটা একটু কঠিন।

৪৭. Six easy pieces – Richard Feynman (অনুবাদ : উচ্ছ্বাস তৌসিফ) : জনসাধারনের জন্য লিখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে বই। বইটি মূলত “Basic physics” ও “The theory of gravitation” এ দুটি অধ্যায়ের জন্য দেওয়া।

৪৮. Einstein’s telescope – Evalyn Gates : সহজভাবে জনসাধারণের জন্য ডার্কম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি ও এদের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব আলোচনাই রয়েছে।

৪৯. Hyperspace – Michio Kaku : বইটা ১৯৯৪ এ আমাদের চেনা বিখ্যাত থিউরীটিক্যাল পদার্থবিদ মিশিও কাকু এর লেখা। মিসিও কাকুর বহুমাত্রার উপর গবেষণাকে ভিত্তি করে হাইপারস্পেস লেখা হয়েছে। তিনি প্রথমতো বিশ্লেষণ করেন হায়ার ডায়মেনশনে আসার সংগ্রামে কিভাবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স ও জেনারেল রিয়েলিটিভিটি এক তত্ত্বে যুক্ত হয়। তারপর তিনি চলে আসেন তাত্ত্বিক দ্বিমাত্রিক পৃথিবীর তত্ত্বে যাকে ফ্লাটল্যান্ড বলা হয়েছে। বইয়ের শেষ ভাগে বিস্তারিত আলোচনা করেন ওয়ার্মহোল,সমান্তরাল মহাবিশ্ব ও মহাবিশ্বের ভাগ্য ও ভবিষৎ নিয়ে।

ছ) বায়োগ্রাফি বা জীবনী :
এগুলোর রিভিউ লেখা খুব একটা প্রয়োজন মনে কিরিনি।

১. বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম – শরীফ মাহমুদ ছিদ্দিকী

২. বাংলার আইনস্টাইন : অমল কুমার রায় চৌধুরী – শরীফ মাহমুদ ছিদ্দিকী

৩. পৃথিবী দেখছি – ইউরি গ্যাগারিন (অনুবাদ : ননী ভৌমিক) : প্রথম মহাকাশ জয়ীর জীবনী।

৪. বাংলার আলোকিত জ্যোতির্বিজ্ঞানী – শরীফ মাহমুদ ছিদ্দিকী : বাংলার শ্রেষ্ঠ ৫ জ্যোতির্বিদের জীবনী।

৫. মেঘে ঢাকা তারা – অতনু চক্রবর্ত্তী : জ্যোতির্বিদ কিংবা তা নয় তবে বাঙালি বিজ্ঞানীদের জীবনী নিয়ে লিখা এ বই। তাদের প্রায় কারো নামই এখন খুব একটা শোনা যায় না। তবে বাঙালি হিসেবে আমাদের জানা আবশ্যক।

৬. মহাকাশে মহামিলন – আলেক্সই লেওনভ
৭. গ্যালিলেও – ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী : ছোটদের জন্য বিশেষায়িত করে লিখা গ্যালিলেওর জীবনী।

৮. HIDDEN FIGURES- MARGOT LEE SHETTERLY: THE AMERICAN DREAM AND THE UNTOLD STORY OF THE BLACK WOMEN WHO HELPED WIN THE SPACE RACE.

৯. The Glass Universe- Dava Sobel: The Hidden History of the Women Who Took the Measure of the Stars.

১০. My Brief History – Stephen Hawking; অনুবাদ আছে

জ) Text / Semi-Text Book:
এখানের বেশিরভাগ বই প্রধানত আন্ডারগ্রাজুয়েটদের জন্য সহায়ক। নানান কোর্সেও সাহায্য করবে। সাধারণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের(৯-১২ শ্রেণির) ও শুধু জনসাধারণের জন্য অতি বিশেষায়িত কিছু বই আছে।

১. Astronomy Today – Eric Chaisson / Steve McMillan : প্রাথমিকভাবে কনসেপ্ট পাওয়ার জন্য এ বইটা আমার মতে অসাধারণ। মোটামুটি সব বিষয়ের ধারণা এ বইতে তুলে ধরা হয়েছে। হাইস্কুল – কলেজের শিক্ষার্থীদের বিগিনিং এর জন্য পারর্ফেক্ট। (Semi-Text)

২. আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান – Professor A. F. M. Abdur Rahman : বইটা শুরু হয়েছে ভূ-গোলক আর খ-গোলকের ধারনা দিয়ে। ধিরে ধিরে আকাশের বিভিন্ন মন্ডলের সম্পর্কে বলা হয়েছে। শেষের দিকে রিলেটিভিটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে। বইটা “কলেজ ও স্নাতক ডিগ্রি” পর্যায়ের জন্য লিখা। এ বইয়ের বিশেষত্ব হলো, স্টুডেন্ট এর জন্য ম্যাথমেটিক্যাল টার্মগুলো আলাদা বক্সে দেওয়া, সাধারণ মানুষ বা মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ম্যাথমেটিক্যাল টার্মগুলো বাদে বুঝার জন্য পড়তে পারবেন।

৩. Universe – Freedman & Kaufmann: এটা ১ম বইটির মতো। তবে একটু ভালোভাবে পদার্থবিজ্ঞানের দিকে নজর দেওয়া। তবে তা আলাদা ভাবে বক্স করা করা আছে। সেগুলো বাদে বাকী সব সকলেই বুঝবেন। (Semi-Text)

৪. Discovering the Universe – Neil F Comins and William J. Kaufmann: বইটা মূলত গুরুত্বপূর্ণ ছবির জন্য বেশ বিখ্যাত। সাথে কিছু ভ্রান্ত ধারণা দূরিকরণে সাহায্য করবে। আর গাণিতিক বিষয় ছাড়াও মোটামুটি সবাই পড়তে পারবেন।

৫. The Cosmic Perspective – Jeffrey O. Bennett: দু’টি বই আছে। একটা সোলার সিস্টেম নিয়ে, অন্যটি তারা, ছায়াপথ ও কসমোলজি নিয়ে। ভালো বই, আধুনিক ধারায় লিখা।

৬. The Essential Cosmic Perspective – Jeffrey O. Bennett: বইতে বেশিরভাগই বেসিক ইকুয়েশন, প্রেজেন্টেশনটা বিগিনার টেক্সট বইয়ের জন্য ভালোই, সাথে প্রাক্টিস পার্টও আছে।

৭. Feynman’s Lost Lecture – Richard Feynman : বইটার মূল বিষয় বস্তু হচ্ছে, গ্রহের গতি ব্যাখ্যা করা। আর এক্ষেত্রে ফাইন ম্যান ক্যাল্কুলাস ব্যবহার করে নাই৷ জিওমেট্রি দিয়ে তিনি কাজ করছেন। প্রথম কয়েক পেইজে ইতিহাস, নিউটন আর কেপলারের কাহিনি। গ্রহের গতি পথ যে উপবৃত্তাকার সেটা ক্যাল্কুলাস ছাড়া কিভাবে বুঝা যায়। তার ভাষায় – খুবই ইউনিক, অদ্ভুত উপায়ে এটা বোঝা যায়, মানে এর খুব কাছাকাছি বিষয়টা বোঝা যায়৷ আসলে খুব বিশেষ কিছু জানা না থাকলেও একটু টাইম দিলে এই বইটা বোঝা যাবে। যেহেতু জ্যামিতি দিয়েই বইটা বোঝানো হইছে, জ্যামিতির নানান বেসিক ক্লিয়ার থাকলেই চলবে৷ (Semi-Text)

৮. The structure of the universe – Jayant Narlikar : বইটি কোনো ক্রমেই সাধারণ বিগিনারদের জন্য নয়। জ্যোতির্বিদ্যার একটা ছোট সমস্যা হল, জ্যোতির্বিদ্যার মজা বুঝতে হলে পদার্থবিজ্ঞান আর গণিত দুটোতেই আগ্রহী হতে হয়। আবার, জ্যোতির্বিদ্যার বইয়ে যদি কোনরকম গাণিতিক ব্যাপারস্যাপারই না থাকে, তাহলেও বোঝা যায় না কতখানি গাণিতিক ধারণা থাকতে হবে। এই দিক দিয়ে বইটি চমৎকার, বইটিতে মোটামুটি সহজ থেকে শুরু করে মোটামুটি কঠিন পর্যায়ের গাণিতিক ব্যাপারগুলা বাস্তব ইকুয়েশন দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। বইটির শুরু আর দশটি জ্যোতির্বিদ্যার বইয়ের মতোই, সূর্য ও তারার জীবনচক্র নিয়ে আলোচনা করতে করতে ক্রমশ বইটি মাত্রা ছাড়াতে ছাড়াতে সমগ্র কসমস নিয়েই আলোচনা করে, আলোচনা করে তৎকালীন সময়ে (১৯৭৭) প্রচলিত মহাবিশ্বের বিস্তার সংক্রান্ত বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে। লেখক নিজে ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ স্যার ফ্রেড হয়েলের ছাত্র ও সহকর্মী। ফ্রেড হয়েল মহাবিশ্বের স্টেডি স্টেট মডেলের প্রবক্তা, মডেলটি পরবর্তীতে বিগ ব্যাং থিওরীর কাছে পরাস্ত হয় কসমিক ব্যাকগ্রাউণ্ড রেডিয়েশনের ব্যাখ্যা দিতে না পেরে। বইটির শেষ দিকে এই স্টেডি স্টেট মডেলের ওপর আলোচনা রয়েছে। সচরাচর জ্যোতির্বিদ্যার বইগুলো যেখানে কেবলমাত্র সফল থিওরিগুলো নিয়েই আলোচনা করে, সেখানে এরকম বই পড়াও জরুরি, যেখানে ব্যর্থ থিওরিগুলোও রয়েছে।

৯. Astronomy: Principles and Practice by A.E. Roy : Celestial মেকানিক্স নিয়ে জানামতে বেস্ট বই। অনেকে এটাকে এ টপিকের বাইবেল বলে থাকেন।

১০. The Early Universe – Kolb & Turner: নিঃসন্দেহে এটা বেস্ট টেক্সট বইগুলোর একটা। মহাবিশ্বের জন্মের পরের পদার্থবিজ্ঞান (যেমন: ইনফ্লেশন) খুবই সুন্দর ভাবে দেওয়া আছে। তবে কিছু ধারণা এখন পুরোনো হয়ে গেছে। তারপরও পড়ার মতো বই।

১১. An Introduction to Mathematical Cosmology – J.N. Islam : এটা আসলেই পরিচিতিমূলক বই। ম্যাথমেটিক্যাল কসমোলজির বেসিক কথাবার্তায় এ বইটি ভরপুর। এ বইটি মোটামুটি কসমোলজির বড় বড় বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। এটিকে সরাসরি টেক্সট বই না বলে রিভিউ টেক্সট বই বলা যেতে পারে। অন্যান্য বইয়ে হয় প্রচুর ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম থাকে, না হয় প্রচুর কথাবার্তা থাকে আর ছোটো খাটো ম্যাথ থাকে। সেদিক থেকে এ বইটি মোটামোটি উভয় দিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

১২. Galaxies in the Universe: An Introduction – Linda S. Sparke, John S. Gallagher III : আধুনিক তথ্যের ভিত্তিতে এ বইটা লিখা৷ বিশেষ করে আন্ডারগ্রাজুয়েটদের জন্য লিখা এডভান্স বই। আধুনিক অবজারভেশনের ইলাস্ট্রেশন ও ডাটা আছে বইটিতে। বইটিতে প্রথমে তারাদের কথা, তারপর আমাদের ছায়াপথ, অন্যান্য ছায়াপথ, তাদের আকার, তাদের বিবর্তন, তাদের electromagnetic spectrum, সাথে ডার্ক ম্যাটার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

১৩. An Introduction to Modern Astrophysics – B.W. Carroll / D. A. Ostlie : Celestial Mechanics ও Astrophysics Part এর জন্য ভালো বইগুলোর একটি। একটু বড় তবে বেশকিছু টপিক অনেক সহজভাবে বোঝানো আছে।

১৪. A Text-Book of General Astronomy – Charles A. Young : এটা এ ক্যাটাগরির ২ নং বইটার মতো।

১৫. Evolution of Stars and Stellar Populations – Salaris / Cassisi : তারাদের বিবর্তন নিয়ে আধুনিক চিন্তাধারায় লিখা। অন্যান্য বই থেকে কিছুটা সহজবোধ্য ও আপডেটেড। ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম আছে অনেক। তবে, ব্যাখ্যার দিক থেকে চমৎকার।

১৬. Nucleosynthesis and chemical evolution of galaxies – B. Pagel : নাম থেকেই অনুমান যোগ্য। মহাবিশ্বে মৌলের বিন্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর উপর ভিত্তি করে আমরা বিগ ব্যাং, তারা ও ছায়াপথের গঠন

১৭. Relativity, Gravitation and Cosmology – Ta-Pei Cheng : বইটা আন্ডারগ্রাজুয়েটদের জন্য বিশেষ করে বিগিনার গ্রাজুয়েটদের জন্য লেখা আইন্সটাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার টেক্সট বই।

১৮. An Introduction to the Theory of Stellar Structure and Evolution – এই ক্যাটেগরির ১২ নং বইয়ের মতোই। তবে আরো বেশি ডিটেইলস আছে, অনেক ম্যাথ আছে। আর সেটি থেকে কঠিনও বটে৷ তবে বেস্ট বইয়ের একটি।

১৯. Galactic Dynamics – Binney / Tremaine : ডাইনামিকস ফিল্ডের বেস্ট একটা বই৷ স্টার্টিং পয়েন্টও জায়গা বরাবর হয়েছে। ব্যাখ্যা আর প্রেজেন্টেশনও অনেক ভালো। এ টপিকের বইবেল এটা।

২০. Astrophysics in a Nutshell – Dan Maoz : এস্ট্রোফিজিক্স এর উপর আধুনিক চিন্তাধারায় লিখা ভালো টেক্সট বইয়ের একটি।

কিভাবে এগোবেন?
লক্ষ করলেই দেখবেন আমি বইয়ের পাশে রিভিউ দিয়েছি মূলত এটার জন্যই। তবে আমি এখন কিছু টিপস দেব। আর যারা এর পরেও কনফিউজড তাদের জন্য দিকনির্দেশনা।

ক) জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগ: এখানে মূলত ক্লাসের হিসেবে করা যেতে পারে। ৫ম শ্রেণি+ দের জন্য ৬, ১২ ও ১৩ নং বইটা দিয়ে হাতেখড়ি নেওয়া যায়৷ আর ৭ম+ হলে ২নং আর ৮ম+ হলে ১, ৩, ৭ নং। আপনি ছোট না হলে আর বিগিনার হলে ১, ৩ ও ৭ নং দিয়ে শুরু করুন। সাহিত্যের সাথে শুরু করতে চাইলে প্রথমে ৯ এরপর ৫। এ দুটি বইও ৮ম শ্রেণি+।
এখানে যেকোনো বিগিনারদের সুবিধার জন্য বাংলার সিকুয়েন্স টা হবে এমন :
২ → ১২ → ১ → ৩ → ৭ → নিজের খুশি।
ইংরেজি বইয়ের ক্ষেত্রে ১৫ নং বইটা ছোটদের। এটা দিয়ে ৭ম-৮ম শ্রেণির ছাত্ররা ১ম ইংরেজি হিসেবে শুরু করতে পারে৷ আর ১৬,১৭,১৮ এ ৩টা বই বলতে গেলে একই ধরনের। এদের একটা ভালোভাবে বুঝলে অন্যগুলো চোখ বুলিয়ে দেখলেই হয়। তাই ৩টা পড়ে সময় অপচয় করার দরকার নেই। যেটা ভালোলাগে সেটা ভালো করে আগে পড়ুন। তারপর বাকিগুলোয় চোখ বুলান। এরপর ২৫ নং বইটা পড়েন। তারপর সব নিজের মত।

গ ও ঘ) পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাস বিভাগ: এই বিভাগে বইগুলো একত্রে পড়া যেতে পারে। বিশেষ করে তারা পরিচিতি, মেসিয়ের তারকা আর আকাশ পট। আপনি তারা পরিচিতি বইতে একটা মন্ডল পড়ে সেইসাথে আকাশ পটে সেই মন্ডল থাকলে তার ইতিহাস পড়তে পারেন। আবার সেই মন্ডলে কোনো মেসিয়ের বস্তু থাকলে তা মেসিয়ের তারকা বইতে দেখতে পারেন। এভাবে পড়তে একটু সময় লাগবে, তবে অনেক ভালোভাবে সেই মন্ডলের উপর জানা হবে৷

ঙ) গাণিতিক বিভাগ : এটা অলিম্পিয়াডের জন্য কাজে দেবে। ৩নং বইটা দিয়ে হাতেখড়ি নেওয়া যায়৷ এরপর ৫ নং তারপর ৪ নং। তবে শুধু ৩, ৪ নং দিয়ে বিগিনারের কাজ হয়ে যাবে। ইংরেজিতে হলে ৬ নং এরপর ৭ নং। কারণ ৭ নং একটু এডভান্সড।
অর্থাৎ মেইন সিকুয়েন্স হল :
৩→৪→৬→৭

চ) সৃষ্টিতত্ত্ব বা বিশ্বতত্ত্ব বিভাগ : এখানে বেশ ভালো সিকুযয়েন্স বানানো যাবে।
বিগিনার হলে প্রথমে ১ ও ২ মাস্ট।
ব্ল্যাকহোলের জন্য ১৭→৩→১২→১৩।
এবার আসছে মহাবিশ্বের জন্ম থেকে মৃত্যু নিয়ে মজার একটা সিকুয়েন্স :
২৩→৪/১৮→১৯→২০→২১।
তবে ২৩ পরে পড়া যায়, আগে পড়লে ভালো হয়। একটু কম বুঝে এমন বিগিনারদের ২৩ পরে পড়তে বলব।

লেখক:

মো. সাজেদুল হক
ছদ্মনাম: হৃদয় হক
১০ম শ্রেণি (বিজ্ঞান বিভাগ),
নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

Leave a Reply