এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে বের করার কিছু পদ্ধতি

আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথ এবং পর্যবেক্ষণযোগ্য ইউনিভার্সের শত বিলিয়ন ছায়াপথে রয়েছে সূর্যের মতো বিলিয়ন নক্ষত্র। আমাদের পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলো যেভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে, ঠিক তেমনি অন্যান্য নক্ষত্রগুলোর চারপাশে এরকম গ্রহ থাকার সম্ভাবনা আছে। যাদের মধ্যে আমরা খুব কম সংখ্যক গ্রহের সন্ধান পেয়েছি। মূলত সৌরজগতের বাইরে অন্যান্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা এইসব গ্রহগুলোকেই আমরা এক্সোপ্ল্যানেট বলে থাকি। তবে কোনো কোনো…

1 Comment

হাবল: আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতীক

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ, বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির অন্যতম এক বিস্ময় যা লক্ষ লক্ষ মানুষকে মহাবিশ্বের চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন সব ছবি দিয়ে মুগ্ধ করেছে। এটি গ্রহ নক্ষত্র ও ছায়াপথের অজানা সব তথ্য প্রকাশ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, যা আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে যেভাবে আমরা পূর্বে কখনও কল্পনাও করিনি। কিন্তু ২৫ বছর ধরে সফলভাবে সেবা দান আর ১০,০০০ বৈজ্ঞানিক…

0 Comments

কৃষ্ণবিবর উপাখ্যান

কৃষ্ণবিবর সম্পর্কে আপনার যা কিছু জানা প্রয়োজন!  ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ  ১৭৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে জন মিশেলের  ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকেই কৃষ্ণবিবর-এর আলোচনা ব্যাপকভাবে বৈজ্ঞানিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বের মধ্য দিয়ে এই বস্তুগুলো সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  আধুনিক প্রস্তাবটি এসেছে। ১৬৮৭ সালে  আইজ্যাক নিউটন বিবৃতি দিয়েছিলেন যে মহাকর্ষ বল এই মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুর মধ্যে কাজ করে। তবে তিনি নিজে…

0 Comments

কোয়াসার : মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু

আভিধানিক সংজ্ঞা অনুসারে, কোয়াসার একটি ভারী ও অত্যন্ত দূরবর্তী মহাকাশীয় বস্তু যা প্রচুর পরিমাণে শক্তি বিকিরণ করে। দূরবীক্ষণ যন্ত্রে একটি কোয়াসার দেখতে নক্ষত্রের মতো হলেও এটি থেকে বিপুল পরিমাণে রেডিও তরঙ্গ বিকিরিত হয়।  একারণে প্রথমদিকে কোয়াসি-স্টেলার রেডিও সোর্স নামকরণ করা হয়েছিল যা এখন সংক্ষেপে কোয়াসার নামে পরিচিত। কোয়াসারগুলো অনেক উজ্জ্বল হয়। কখনও কখনও এতই উজ্জ্বল হয় যে, এরা যে গ্যালাক্সিতে…

0 Comments

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ
কী? কেন? কীভাবে?

আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে মহাকাশের সবচেয়ে দূরের তারাগুলো পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেছিল হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। কিন্তু এই ক্ষণস্থায়ী জগতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপেরও আয়ু ফুরিয়ে এলো বলে। তাই এর উত্তরসূরি হিসেবে এবার পৃথিবীর সাপেক্ষে মহাবিশ্বের সবচেয়ে দূরের তারাগুলো আরো স্পষ্ট করে দেখতে আকাশপানে উড়াল দিবে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ।  ১৯৯৬ সালে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ লঞ্চ হওয়ার কথা থাকলেও…

0 Comments

প্রকৃতির শৈল্পিকতা: নীহারিকা

প্রকৃতি কখনো আমাদের তার রূপে বিস্মিত করতে ব্যর্থ হয় না৷ প্রকৃতিতে তেমনই একটি সৃষ্টি হল নীহারিকা (Nebulae). তো আজকের 'Basics of Astrophysics' সিরিজের লেখায় আমরা নীহারিকার রূপ-গুণ-ধরন নিয়ে কিছুটা খোঁজখবর নেব। নীহারিকাকে মূলত মহাজাগতিক মেঘ বলা যায়, যাতে ৯০% হাইড্রোজেন, ১০% হিলিয়াম আর সামান্য পরিমাণে অন্যান্য ভারী মৌল থাকে৷  ভূতুড়ে দেখতে এই গ্যাসের তৈরি মেঘগুলো বেশ উজ্জ্বল-রঙ্গীন থেকে একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্নও…

0 Comments

শতাব্দীর দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ

আগামী ১৯ নভেম্বর ঘটতে চলেছে শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ। সূর্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে আসার ফলে চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। ১৯ নভেম্বরের চন্দ্রগ্রহণে চাঁদের ৯৭ শতাংশ এলাকা পৃথিবীর ছায়া দ্বারা ঢেকে যাবে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে চাঁদের পৃষ্ঠ ওই সময় লাল দেখাবে। নাসার হিসাব মতে এই চন্দ্রগ্রহণটি ৩ ঘন্টা, ২৮ মিনিট, ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হবে যা ২০০১ সাল…

0 Comments

পেন্টাগন ও ইউএফও দর্শন

আমরা যখনই ইউএফও চিন্তা করি তখনই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে একটি থালার মতো উড়ন্ত বস্তু। এ থেকে বেরিয়ে আসে মানবজাতির চেয়েও উন্নত এক প্রজাতি যাদেরকে আমরা নাম দিয়েছি এলিয়েন। ইউএফও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Unidentified Flying Object বা অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু। আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় যেসকল বস্তু পাওয়া যায়, যাদেরকে আমরা আমাদের পরিচিত কোনো বস্তুর সাথে তুলনা করে শনাক্ত করতে পারি…

0 Comments

নক্ষত্রের জীবনচক্র

নক্ষত্রের জন্ম প্রথমেই বলে নিই যে, আমাদের এই মহাবিশ্ব দুটি প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম নিয়ে গঠিত। আর এই দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ধুলা ও গ্যাসের বিশাল বিশাল মেঘ এই মহাবিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় এই মেঘগুলো জড়ো হওয়ার ফলে এদের ব্যাপ্তি কয়েক আলোকবর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। যখন ধুলা ও গ্যাস মিশ্রিত মেঘটি যথেষ্ট পরিমাণে বিশাল ও ভরযুক্ত হয়ে…

0 Comments

সাহার সমীকরণ এবং জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে এর গুরুত্ব

  একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  ১৮১৪ সালে ফ্রনহোফার রেখা সমূহের (Fraunhofer Lines) আবিষ্কার, নক্ষত্রের বর্ণালী গবেষণার সূচনা করে। নক্ষত্রের বর্ণালী ফ্রনহোফার বর্ণালীর সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ মেনে চলে। দেখা যায় কিছু কিছু পদার্থের বর্ণালী অন্যান্য পদার্থের বর্ণালীর চেয়ে শক্তিশালী। মজার বিষয় হচ্ছে, নক্ষত্র ভেদে একই ধরনের পদার্থ থেকে ভিন্ন ভিন্ন শক্তির বর্ণালী পাওয়া যায়। এই অসামঞ্জস্যতার (ভিন্নতা) কারণ তখনকার বিজ্ঞানীরা জানতো না। ফ্রনহোফার…

0 Comments